মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পথেই চুরি যাচ্ছে আমদানিপণ্য

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের পথে সক্রিয় একাধিক সিন্ডিকেট ► জড়িত চালক, হেলপার ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

পথেই চুরি যাচ্ছে আমদানিপণ্য

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের পথেই চুরি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। অভিযোগ ভয়ংকর এ চুরির সঙ্গে কতিপয় চালক, হেলপার ও শ্রমিক সংগঠনের নেতার সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি সিন্ডিকেট জড়িত। তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন নগরের কমপক্ষে ১৫ পয়েন্টে। সিন্ডিকেটের তৎপরতা রোধে এরই মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘বন্দর থেকে ভোগ্যপণ্য নেওয়ার পথে চুরি হয় এমন অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।’

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে খালাস করে গুদাম কিংবা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে নেওয়ার পথে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। আমদানি করা পণ্য চুরি বন্ধে প্রতিকার চেয়ে সিএমপি কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমদানি করা পণ্য পথে চুরি হচ্ছে। কিন্তু গত এক বছরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। একেকজন আমদানিকারকের প্রতি চালানে ১০ থেকে ১৫ টন পণ্য চুরি হচ্ছে বন্দর থেকে গুদাম বা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আনার পথেই। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া আমদানি করা ভোগ্যপণ্য চুরি সিন্ডিকেটে রয়েছেন পণ্য পরিবহনকারী পরিবহনের চালক ও সহকারী। তাদের নেপথ্য সহযোগী রয়েছেন পরিবহন সমিতির কয়েকজন নেতা। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া পণ্য গুদাম কিংবা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আনার পথে কমপক্ষে ১৫ পয়েন্টে চুরি হয় নিয়মিত। এসব স্পটের মধ্যে রয়েছে ইছহাক ডিপো এলাকার রেল বিট, সল্টগোলা ক্রসিং, টোল রোডের টোল প্লাজাসংলগ্ন চোচালা ব্রিজ, পোর্ট কলোনি, নিমতলা বিশ্বরোড, বারেক বিল্ডিং এলাকা, মাঝিরঘাট স্কেলের প্রবেশমুখ, ধনিয়ালাপাড়া, দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার, ঈদগাহ কাঁচা রাস্তার মোড়।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ বছর ধরে বন্দর থেকে খালাস হওয়া ভোগ্যপণ্য চুরি হচ্ছে। কিন্তু গত এক বছরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতি চালান থেকে ২ থেকে ৫ শতাংশ পণ্য চুরি হয় খালাসের পথে। চুরি হওয়া ভোগ্যপণ্যের মধ্যে মসলা জাতীয় পণ্য, সরিষা, মটর, ছনা, মসুর ডাল অন্যতম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর