বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আট মাসে ধর্ষণের শিকার ৮১৩ কন্যাশিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে ৮১৩ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৪৭ কন্যাশিশু অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ বেড়েছে ১০ শতাংশ। কন্যাশিশুরা সমাজের প্রতিটি স্তরে নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়ে ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েদের প্রতি চরম বিদ্বেষ তৃণমূল পর্যায়ে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নে কন্যাশিশুর নিরাপত্তা ও জেন্ডার সমতা’ শিরোনামের অনলাইন গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, কন্যাশিশুরা এখন সব জায়গায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। করোনাকালে কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা আরও বেড়েছে। সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করেও ধর্ষণ কমানো যায়নি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোমা দে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার। সভাপ্রধানের বক্তব্যে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার বলেন, কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, তিন-চার বছর ধরে দেশে নারীর প্রতি অবমাননা বেড়েই চলেছে। নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে নারীদের পক্ষ থেকে আরও অনেক কাজ করতে হবে।

লেখক ও সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল; তা হয়নি। বরং একজন ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা এসেছে।

স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার বলেন, জীবিকা, সম্পদ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে মেয়েদের অগ্রগতি হলেও পুরুষের তুলনায় এখনো তারা পিছিয়ে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব পর্যায়ে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর