মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ যানবাহনের দখলে মহাসড়ক

মাসোয়ারা যায় বিভিন্ন সংস্থার পকেটে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অবৈধ যানবাহনের দখলে মহাসড়ক

চট্টগ্রামের মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ চাঁদের (জিপ) গাড়ি। সড়কে চলাচলের জন্য এ গাড়িগুলোর নেই কোনো রুট পারমিট। চালকদেরও নেই লাইসেন্স। তারপরও বিভিন্ন সংস্থাকে ম্যানেজ করে জেলাজুড়েই অবাধে চলাচল করছে অবৈধ গাড়িগুলো। অবৈধভাবে চলাচলকারী এ গাড়িগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার সব উপজেলায় অবৈধভাবে চলছে চাঁদের গাড়ি। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে চলাচলের জন্য এ গাড়িগুলোর নেই কোনো রুট পারমিট। চালকদের নেই কোনো লাইন্সেন। তবে বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকলেও সড়কে চলাচলের কথিত রুট পারমিট দেয় স্থানীয় প্রশাসন। হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ এবং কথিত শ্রমিক ইউনিয়নকে চাঁদা দিয়ে অবাধে চলাচল করে চাঁদের গাড়ি। চট্টগ্রামে চাঁদের গাড়ির চলাচল রয়েছে এমন উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, রাউজান,     ফটিকছড়ি অন্যতম।

বিআরটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘চাঁদের গাড়ির কোনো রুট পারমিট দেওয়া হয় না। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলাচল করে। এ গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাধা দেয়। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এ গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না।’

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ জাহান বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে চলছে চাঁদের (জিপ) গাড়ি। এ গাড়িগুলোর নেই কোনো রুট পারমিট। চালকদের নেই কোনো লাইসেন্স। অবৈধভাবে চলাচল করা গাড়িগুলোর মাধ্যমে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়িগুলোর বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাটহাজারী এলাকার চাঁদের গাড়ির এক মালিক বলেন, ‘সড়কে ঝামেলামুক্ত চলাচল করার জন্য প্রতি বছর ১৮ হাজার টাকা দিতে হয়। এ টাকার ভাগ পায় পুলিশ, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং স্থানীয় নেতারা।’

সর্বশেষ খবর