চট্টগ্রামে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে কেজিপ্রতি ২০ টাকা দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে পিঁয়াজ মজুদ থাকায় দাম বৃদ্ধির কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই। দেশে রডের দামসহ বিভিন্ন নিত্য ও ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যেও পিঁয়াজের দাম রয়েছে অনেক কম। তাছাড়া এসব ভোগ্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে রাখতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও মাঠে থাকবেন জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে রমজানের প্রথম দিকেই আবার কোনো ধরনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেই ‘টেনশনে’ রয়েছেন ক্রেতারা। তাছাড়া পিঁয়াজ ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানির কারণে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য কোনো ধরনের প্রভাবও নেই বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, চট্টগ্রামে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। পিঁয়াজের দাম ক্রেতাদের ক্রয়-ক্ষমতার সহনীয় পর্যায়ে থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারাও বেচাকেনা করে খুশি। সরবরাহ বেশি হওয়ায় পাইকারিতে কমছে পিঁয়াজের দাম। তার প্রভাব ধীরে ধীরে পড়ছে খুচরায়। মূলত সারা বছর ভারত থেকে সড়কপথেই সিংহভাগ পিঁয়াজ আমদানি হয় দেশে। মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ আসে। সংকটের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্রপথে আসা বাহারি সব পিঁয়াজের দেখা মেলে। দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেও দাম কম রয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে দামও কম পিঁয়াজের। চট্টগ্রামের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাজির দেউরি, ২ নম্বর গেটসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় পিঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানিকারক থেকে ট্রাক বোঝাই করে খাতুনগঞ্জের আড়তে পিঁয়াজ নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। প্রতিদিন অর্ধ শতাধিক পিঁয়াজের ট্রাক ঢুকছে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, পাহাড়তলীসহ জেলার বিভিন্ন আড়তে। খাতুনগঞ্জের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী ইরা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ফারুক হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভারতের নাসিক ও কানপুরী পিঁয়াজ আড়তে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৩-২৬ টাকা। মিয়ানমারের পিঁয়াজ ২২-২৭ টাকা। দেশি মেহেরপুরী পিঁয়াজ ১৫-২০ টাকায়। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ ভারত ও মিয়ানমারের বেশি ঝাঁজের পিঁয়াজই পছন্দ করেন।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীর কিছু আড়তেও পিঁয়াজের গোডাউন করা হয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম কম থাকায় খুচরা বাজারেও কমেছে দাম। করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষ কষ্টে ছিল এখনো রয়েছে। বর্তমানে পিঁয়াজের দাম কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। খুচরা বাজারেও দাম কম। এ পরিস্থিতিতে সরকার আন্তরিক এবং কঠোর মনিটরিং করলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান তিনি।