সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
রাজশাহী ওয়াসা

পানি শোধনাগার মেগা প্রকল্পে গতি নেই

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজশাহীর জনসংখ্যা। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানির চাহিদাও। ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে রাজশাহী মহানগরে পানির চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ সরবরাহ করে ওয়াসা। পানির সংকট থেকে মুক্তি পেতে ‘রাজশাহী ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার’ শীর্ষক মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় পদ্মা নদীর পানি বিশুদ্ধ করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে মহানগরীসহ গোদাগাড়ী, কাটাখালী এবং নওহাটা পৌরসভায় সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মহানগরীর পাশাপাশি আশপাশের কয়েক লাখ মানুষের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর হবে। কিন্তু পানি শোধনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজে গতি নেই। এক বছর পার হলেও এ প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না এ নিয়েও আছে আলোচনা। তবে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকীর হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে আছে। এক্সিম ব্যাংক অব চায়না, যারা এটার অর্থায়ন করার কথা, তারা ইভ্যালুয়েশন করছে। তাদের ইভ্যালুয়েশন শেষ হলেই আমরা চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’ রাজশাহী ওয়াসার একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের খসড়া সম্পন্ন করা হয়। পরের বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। ২০২১ সালের মার্চে রাজশাহী ওয়াসা চীনের ‘হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’-এর সঙ্গে ‘রাজশাহী মহানগরীতে ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে।

 চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রকল্প বাবদ চীন সরকারের থেকে প্রাপ্ত ঋণ রাজশাহী ওয়াসাকে পানি সরবরাহ বাবদ প্রাপ্ত আয় থেকেই পরিশোধ করা হবে।

প্রকল্পটি স্থাপন করা হবে নগরী থেকে প্রায় ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুরে। সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি এনে নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ১০০ শতাংশ ভূ-উপরিস্থিত পানি (পদ্মা নদী) ব্যবহার করে নগরবাসী ও পাশের পৌরসভাগুলোর জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকীর হোসেন বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয়েছে। পরে একনেকেও প্রকল্পটি পাস হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাইপলাইনের মাধ্যমে নগরীর পাশাপাশি পাশের পৌরসভায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের টাকা দিয়ে শোধনাগার স্থাপন ছাড়াও ভূমি অধিগ্রহণ এবং নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। পুরনো পাইপলাইনগুলোও নতুন করে স্থাপন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর