শিরোনাম
বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম দক্ষিণ উত্তর ও মহানগর যুবলীগ

নতুন কমিটির দৃষ্টি এবার কেন্দ্রে

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

নতুন কমিটির দৃষ্টি এবার কেন্দ্রে

তিন দিনব্যাপী চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর যুবলীগের উৎসবমুখর সম্মেলন শেষ হয়েছে গত সোমবার। সম্মেলন শেষ হলেও করা হয়নি তিন সাংগঠনিক কমিটি। পৃথক কমিটির পদ-প্রত্যাশীরা দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিত নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে পরিচয়-পর্ব হলেও ঐক্যবদ্ধ বা একক প্রার্থী না হওয়ায় কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যার বা কেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখেছেন স্ব স্ব প্রার্থীরা। সেখান থেকে যোগ্য প্রার্থী বিবেচনা করেই নতুন নেতৃত্ব বা নতুন কমিটি ঘোষণা আসবে। কেন্দ্রের দিকে দৃষ্টি রেখে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান পদ-প্রত্যাশীরা। তবে কখন তিন সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা আসছে এখন পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮, ২৯ ও ৩০ মে চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। এই সম্মেলন শৃঙ্খলাভাবে শেষ হলেও নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। তবুও স্ব স্ব প্রার্থীরা কেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখেছেন বলেও উপস্থিত নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন। তার পরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-গুঞ্জন চলছে। পৃথক তিন কমিটিতে জমা দেওয়া তালিকায় যুবলীগ নেতা ছাড়াও প্রায় অর্ধশতাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন। সবাই নানাভাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে ব্যস্ত রয়েছেন। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলার শীর্ষ নেতাদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন পদ-প্রত্যাশীরা। তবে যাচাই-বাছাই করে সাবেক ছাত্রনেতাসহ যোগ্য, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে এবং সম্মেলনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নানা বিশৃঙ্খলা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নতুন কমিটি হয়নি বলেও জানান অনেকেই।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিন সাংগঠনিক কমিটির উৎসমুখর সম্মেলন হয়েছে। সুন্দরভাবে এই সম্মেলন করতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে দায়িত্বশীল নেতারা অনেক কাজও করেছেন। এবার যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন, তারা অবশ্যই ক্লিন ইমেজের, ত্যাগী ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হবে। সব মিলে নতুন-পুরনোর মধ্যেই এই নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন ১০৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে দুই পদে ১৫ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহারও করেছেন। বাকি সভাপতি পদে ২৮ জন ও সেক্রেটারি পদে ৬৫ জন প্রার্থী অনড় ছিলেন। এই প্রধান দুই পদে ৯৩ জন প্রার্থী অনড় থাকায় যুবলীগের দ্বিতীয় অধিবেশনে যুবলীগ চেয়ারম্যান দুই পদের প্রার্থীদের ১০ মিনিট করে সময় নির্ধারণ করে দেন ঐকমত্যে আসার জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ ঐকমত্যে আসতে পারেননি।

পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আসলে এখানে এতজন যোগ্য প্রার্থী, সেখান থেকে এখন বাছাই করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আপনারা যদি আমার প্রতি আস্থা রাখেন, তাহলে আমি শিগগিরই কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করব। এ বিষয়ে প্রার্থীদের সমর্থন চাইলে, এক কথায় সবাই হাত উঁচিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলেন। এরপর অধিবেশন সমাপ্তি হয়। তবে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের পদ-প্রত্যাশীরাও কেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখেছেন বলে জানান নেতারা। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদ-প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রনেতা এম আর আজিম বলেন, যথারীতি কেন্দ্রের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রয়েছে। সারা জীবন দলের জন্য কাজ করেছি। কেন্দ্র যোগ্যতা বিবেচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে আশা করছি। একই কথা বললেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রত্যাশী যুবনেতা মিজানুর রহমান ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আবু তৈয়বও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর