শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাবলু ধনী হলেও ঋণী ইলিয়াসের আইন পেশা

রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আসন্ন রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে স্বতন্ত্র মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ব্যবসায়ী। অপরজন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ। মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ধনী হলেও তিনি ঋণী রয়েছেন ব্যাংকে। ইলিয়াস আহমেদ আইন পেশার আয়ে চলেন। নির্বাচন অফিসের হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর নগদ টাকা রয়েছে ১৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৫২৪ টাকা। অপরদিকে তার জামানতবিহীন ঋণ ৫০ লাখ এবং ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১৯ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ১৯৩ টাকা। অপরদিকে ইলিয়াস আহমেদের নগদ টাকা ৩০ হাজার টাকা। হলফনামা অনুয়ায়ী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর আত্মীয়স্বজন হতে ধার অথবা কর্জ নেই। কৃষি খাতে তার রয়েছে ২৭ হাজার ২৯০ টাকার সম্পত্তি। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকানসহ অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় রয়েছে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ টাকা। ব্যবসা বাবদ আয় রয়েছে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৫১ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, এক্সচেঞ্জ ইত্যাদিতে রয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। বাস, ট্রাক, ছোট গাড়ি ইত্যাদি বাবদ দেখানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। সোনা বা অন্যান্য মূল্যবান পাথর রয়েছে ৫৫ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ টাকার। আসবাবপত্র ১৫ হাজার টাকার। কৃষিজমি রয়েছে ৫৮ লাখ ৩ হাজার ২৫০ টাকার। এ ছাড়া অকৃষি জমি রয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭০ টাকার। দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে ১৫ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৬ টাকার। বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট ১ কোটি ৫৫ লাখ, ৪০ হাজার ৪৫০ টাকার। অন্যান্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৬ টাকা। অপরদিকে  অ্যাডভোকেট  ইলিয়াস আহমেদের নগদ টাকা রয়েছে ৩০ হাজার। কৃষি খাতে আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা, পেশা থেকে আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ৫ লাখ টাকা,  সোনা ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে ৬ ভরি, নিজের নামে ১০ বিঘা ও স্ত্রীর নামে ২০ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। এ ছাড়া অকৃষি জমি ৩০ শতক, গ্রামে দোতলা বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে টিন শেড বাড়ি রয়েছে। তার মুক্তিযোদ্ধা ঋণ রয়েছে ১০ লাখ টাকা। তিনি নির্বাচনী ক্যাম্প ৮টিতে  সম্ভাব্য ব্যয় দেখিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা, পোস্টার বাবদ ৮ হাজারে খরচ ৩০ হাজার টাকা, কর্মী ও নির্বাচনী এজেন্ট ইত্যাদি খরচ ৮০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। এ ছাড়া, লিফলেট ৮ হাজার টাকা, হ্যান্ডবিল ১০ হাজার টাকা, ১৬টি ব্যানারে খরচ ধরেছেন ১০ হাজার টাকা, দৈনিক আপ্যায়ন ৮ হাজার টাকা করে ১০ দিনে ৮০ হাজার টাকা। ১৬ জন কর্মীর পেছনে ৩২ হাজার টাকা ব্যয় ধরেছেন ইলিয়াস আহমেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর