বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জেলের জালে বিষধর রাসেল ভাইপার গড়াই নদীতে অবমুক্ত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে একটি বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করে গড়াই নদীতে অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নিচে গড়াই নদীতে সাপটি অবমুক্ত করা হয়। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ার জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে। সকালে খবর পেয়ে বিলপ্তি প্রায় সাপটি উদ্ধার করা হয়। পরে গড়াই ব্রিজের নিচে অবমুক্ত করা হয়েছে। এদিকে গড়াই নদীতে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপটি অবমুক্ত করায় আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। তারা বলছেন, গড়াই নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। তারা বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে এত ভয়ংকর সাপটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। জানা গেছে, উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেলে মো. শামিম হোসেন প্রতিদিনই পদ্মায় দোয়ার জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন। মঙ্গলবার সকালে জাল থেকে মাছ বের করতে গিয়ে একটি সাপ দেখতে পান।

প্রথমে তিনি অজগর মনে করে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বন বিভাগের লোকজন এসে জানায়, এটা বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ। পরে সাপটিকে বনবিভাগের লোকজন নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই বিষাক্ত। সাপটি বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। দেশে সেসব সাপ দেখা যায়, তাদের মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপ দংশন করলে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ শারীরিক নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে জেলে মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই দোয়ারে জাল পেতে পদ্মায় মাছ ধরি। সকালে জাল তুলে দেখি একটি অন্যরকম সাপ। যা আগে কখনো দেখিনি। প্রথমে অজগর মনে করেছিলাম। পরে বনবিভাগের লোক এসে বললেন এটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। সাপটি বনবিভাগ নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা বনবিভাগের বনকর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। জব্দ করার পর গড়াই নদে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদ বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর