সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাবিতে নম্বর কমিয়ে পোষ্য কোটায় অকৃতকার্যদের ভর্তির সিদ্ধান্ত

এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর : বলছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পোষ্য কোটায় ন্যূনতম নম্বর কমিয়ে পূর্বের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপকমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।

তিনি বলেন, পোষ্য কোটায় আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ন্যূনতম পাস নম্বর কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে। কেননা হিসাব অনুসারে এই কোটায় ২০১ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থাকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৬৭ জন। এখন পাস নম্বর কমানোর ফলে আরও ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এখনো ৭৪টি আসন ফাঁকাই থাকবে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর রাবিতে পোষ্য কোটায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। যেখানে ন্যূনতম পাস নম্বর পেলেই ভর্তির সুযোগ পান তারা। এ বছর ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থাকার কারণে সেই কোটায় বেশির ভাগ আসন ফাঁকাই থাকছে। তাই আসন পূর্ণ করার জন্যই নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এই কোটায় ৩ শতাংশ আসন বরাদ্দের পাশাপাশি ন্যূনতম পাস নম্বর না রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বেশির ভাগ সদস্য।

এদিকে নম্বর কমিয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর। যে শিক্ষার্থী ন্যূনতম নম্বর পেয়ে পাস করতে পারেন না, তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া নিতান্তই অমূলক। এটা কেবল একটি নির্দিষ্ট স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই সিদ্ধান্ত। কেননা, এরাই পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে লবিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিবেন। ফলে যোগ্যরা পিছিয়ে পড়বেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাক্সিক্ষত যে আউটপুট তা অর্জন বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গৃহপালিত জায়গায় পরিণত হচ্ছে। তাই এই কোটা পদ্ধতিই বাতিলের দাবি জানান তারা।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, বিষয়টি একটু জটিল। কেননা, এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতেই সিদ্ধান্ত হয়। তবে আমরা পরবর্তীতে এই কোটায় বরাদ্দ আসন কমানোর জন্য বলেছি।

সর্বশেষ খবর