খুলনার গোবরচাকা এলাকায় গলা কেটে নারীকে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা আবু বকর মোল্লাকে (২৭) গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে নিহত নারীর বিচ্ছিন্ন দুই হাতের কবজি উদ্ধার করা হয়েছে। অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ওই নারীকে। পরে লাশ গুমের জন্য বঁটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলেন আবু বকর। এরপর নিজেকে আড়াল করতে স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যান। অভিযানে আবু বকরের স্ত্রী স্বপ্নাও আটক হয়েছেন।
তবে ঘটনার সময় তিনি হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। স্বপ্না খুলনার একটি ক্লিনিকের নার্স।
এর আগে রবিবার দুপুরে পুলিশ আবু বকর মোল্লার ঘরের তালা ভেঙে পলিথিনে মোড়ানো বিচ্ছিন্ন মস্তক ও কাগজের কার্টনের মধ্য থেকে খন্ডিত দেহ উদ্ধার করে। গতকাল গোবরচাকায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাক আহমেদ এসব কথা জানান। তিনি বলেন, নিহত ওই নারীর নাম কবিতা রানী (২৯)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কালীপদ বাছারের মেয়ে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ওই নারীর সঙ্গে আবু বকর মোল্লার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ৫ নভেম্বর রাতে তাকে বাসায় এনে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে ওই নারী উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতে থাকেন। তখন আবু বকর তার নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। এরপর লাশটি লুকানোর জন্য বঁটি দিয়ে তার গলা ও হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করেন।
কিন্তু রাতে কয়েকজনকে ফোন করলেও ঘর থেকে লাশটি সরিয়ে নিতে কেউ সহায়তা না করায় লাশ ফেলে রবিবার ভোররাতে আবু বকর হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রী স্বপ্নাকে নিয়ে পালিয়ে যান। আবু বকর মোল্লাকে সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বপ্নাকে র্যাব কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।