মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জেল থেকে বেরিয়েই ফের মাদক বাণিজ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত ২০১৭ সালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা বহনের কাজ করতেন শফিক (৩৬)। ২০২০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী সুমির হাত ধরে ইয়াবার সঙ্গে আইসেরও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন তিনি। সাবেক স্ত্রীর ভুয়া ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই মূলত তিনি রাজধানীর ডেমরা এলাকার মাদকের হোতা বনে যান। গত বছরে ১০ হাজার ইয়াবাসহ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এক বছরের বেশি সময় কারাভোগ শেষে চলতি বছরের আগস্টে জামিনে বের হন।

পরে ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ার মাদকের গডফাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অভিযানে শফিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দুজন হলেন- তার সাবেক স্ত্রী ‘ক্রাইম রিপোর্টার ও টিভি আর্টিস্ট পরিচয় প্রদানকারী’ মরিয়ম বেগম ওরফে সুমি ও সুমন ফকির (৩৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার  ইয়াবা ও ১১০ গ্রাম আইস (ক্রিস্টাল মেথ) জব্দ করা হয়।

গতকাল ডিএনসির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ জানান, অভিযানে ডেমরা পশ্চিম বক্সনগর ও স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে ১১ হাজার ইয়াবা ও ১১০ গ্রাম আইসসহ কক্সবাজারভিত্তিক মাদক পাচারকারী চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। শফিক কক্সবাজার পৌর এলাকার দক্ষিণ তারাবুনিয়ারছড়ার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে। মরিয়ম বেগম ওরফে সুমি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কান্দিপাড়া খাঁ বাড়ির মজিবর রহমানের মেয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। তারা ডেমরা সারুলিয়া পশ্চিম বক্সনগরে থাকেন। আর সুমন ফকির বরিশাল মুলাদীর আলিমাবাদ ফকিরবাড়ীর আলেফ ফকিরের ছেলে। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর রায়েরবাজারের সুলতানগঞ্জে থাকেন। ক্রেতা সেজে প্রথমে যোগাযোগ করা হয় শফিকের সঙ্গে। এরপর ডিএনসি কর্মকর্তারা যাত্রাবাড়ীতে যান। শফিক নিজে না এসে চক্রের সদস্য সুমন ফকিরকে পাঠান। তাকে ৫০০ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ী থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শফিককে স্টাফ কোয়ার্টার ও সারুলিয়া এলাকা থেকে মরিয়ম বেগম ওরফে সুমিকে বাকি ১০ হাজার ৫০০ ইয়াবা এবং ১১০ গ্রাম আইসসহ গ্রেফতার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর