মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন

জুনে কাজ শেষ, আগস্টে চলবে রেল

৭৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন, হচ্ছে দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম    

জুনে কাজ শেষ, আগস্টে চলবে রেল

শেষ হয়ে গেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের ৭৭ ভাগ কাজ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এ সৈকতে যাওয়ার একমাত্র সড়কপথ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। তবে সড়কটি যানবাহনের তুলনায় সরু। ফলে তুলনামূলক কম গতিতেই গাড়ি চালাতে হয়। সঙ্গে থাকে দুর্ঘটনার শঙ্কা। কিন্তু এবার নির্মিত হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৭৭ শতাংশ কাজ। এটি নির্মাণ হলে পর্যটকরা পাবেন স্বস্তিদায়ক যাতায়াত। বাড়বে দেশি-বিদেশি পর্যটক। উন্মোচিত হবে পর্যটন শহরের নতুন দিগন্ত। এটি হবে দেশের জন্য সরকারের উপহার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনটি ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার ও রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কি.মি. রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার রেলট্র্যাক স্থাপনের কাজ চলছে। প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুকের আদলে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত এগিয়ে যাবে আরেক ধাপ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে। তাছাড়া সহজ ও কম খরচে মাছ, লবণ, কাগজের কাঁচামাল, বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা যাবে। একই সঙ্গে প্রকল্প নির্মাণে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নির্বিঘ্নে চলাচল করার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই রেলপথে হাতি চলাচলে একটি ৫০ মিটার দীর্ঘ ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, এটি সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প। ফলে এ প্রকল্পের কাজ যথা দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ। প্রকল্পের বড় অবকাঠামোগত কাজ যেমন ব্রিজ নির্মাণ, রেলট্র্যাক, বিদ্যুৎলাইন স্থাপন, মাটিকাটার কাজ, রেললাইনগুলোতে সিগন্যালের তার বসানোসহ নানা কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের প্রায় ৪৫ কিলোমিটারের মতো রেললাইন প্রস্তুত। বর্তমান গতিতে কাজ চললে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ করার আশা রাখি। এরপর আগস্ট-অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষামূলক রেল চালানোর পরিকল্পনা আছে। পরীক্ষামূলক কাজ সফল হলে চূড়ান্তভাবে রেল চালানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর