মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ষড়যন্ত্র হলে রুখে দাঁড়াবে পুলিশ

ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র হলে রুখে দাঁড়াবে পুলিশ। জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন এ বাহিনীর সদস্যরা। ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন অনেক বীর পুলিশ সদস্য। কোনো অপশক্তিই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে পিছপা হইনি। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দফতরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস যদিও বিজয়ের মাস, এ মাস ট্র্যাজেডির মাসও। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি কিন্তু বসে নেই। তারা ’৭১-এর পর থেকে স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলতে বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সভার শুরুতেই নভেম্বর মাসের খাতওয়ারি অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। এ সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

নভেম্বর মাসে ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের দেবাশীষ কর্মকার, শ্রেষ্ঠ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদপুর থানার শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। শ্রেষ্ঠ পরিদর্শক (অপারেশনস) যাত্রাবাড়ী থানার জাকির হোসাইন। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন ও পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোবারক হোসেন।

এ সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর