মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুলিশের হটলাইনে প্রবাসীদের স্বস্তি

সিলেটে ২৪ ঘণ্টার হেল্পডেস্ক

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপরই নির্ভর করে সিলেটের স্থানীয় অর্থনীতি। কিন্তু যাদের শ্রম-ঘামে অর্থনীতির চাকা সচল থাকছে, তাদের সমস্যারও শেষ নেই। প্রবাসে থেকে অথবা দেশে ফিরে তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। বিশেষ করে নিজেদের জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই তাদের এ সমস্যায় পড়তে হয়। এ দুর্ভোগ লাগবে সিলেট জেলা পুলিশের চালু করা হটলাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবাসীদের আস্থার জায়গা। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার প্রবাসী এই হেল্প ডেস্কের সহায়তা চেয়েছেন। পুলিশের এখতিয়ারে পড়ে এমন সমস্যাগুলো সমাধানও করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। প্রবাসীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিতে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে ‘প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক হটলাইন’ চালু করেন বর্তমান পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। ডেস্কে নিযুক্ত করা হয় একজন ইন্সপেক্টর, একজন এসআই, দুজন পুরুষ কনস্টেবল ও চারজন নারী কনস্টেবল। শিফট ভাগ করে ডেস্কে কর্মরতরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। হটলাইনে (০১৩২০-১১৭৯৭৯) ফোন এলেই দায়িত্বরতরা রিসিভ করেন। এর মধ্যে সেবাগ্রহীতা নারী হলে নারী পুলিশ সদস্যরাই অভিযোগ শুনে তা লিপিবদ্ধ করেন। হেল্প ডেস্ক চালুর পর থেকে গেল চার মাসে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা চেয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ফোন এসেছে। হেল্প ডেস্কের তথ্যানুযায়ী, যারা ফোনে সহায়তা চেয়েছেন তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত প্রবাসীই বেশি। বেশির ভাগ অভিযোগ জায়গা-জমি, আর্থিক লেনদেন ও পারিবারিক সমস্যা নিয়েই করা হয়ে থাকে।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রবাসীরা যখন হটলাইনে ফোন দেন তখন একজন কর্মকর্তা তাদের অভিযোগগুলো লিপিবদ্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেন। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে অভিযোগটি পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরও সহায়তা চাওয়া হয়। অভিযোগটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রবাসীরা আইনি সহায়তা পাওয়ায় দিন দিন এই সেবা উদ্যোগে তাদের আস্থাও বেড়ে চলছে।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শাহরিয়ার বিন সালেহ জানান, প্রবাসীদের সমস্যা যে থানার অন্তর্ভুক্ত সেই থানার ওসিকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। উপকার পাওয়ায় দিন দিন এই সেবা কার্যক্রম প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও বাড়ছে। গেল চার মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে হাজারো ফোন পাওয়া গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর