মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ কমানো জরুরি : ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য খেলাপি ঋণ (নন-পারফর্মিং লোন) কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে নন-পারফর্মিং লোন কার্যকরভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে তা মুদ্রানীতির জন্য সহায়ক হতো। খেলাপি ঋণ (নন-পারফর্মিং লোন) নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও কিছু গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতি নিয়ে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যেহেতু ক্রমবর্ধমান নন-পারফর্মিং লোন বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ এবং প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে সে কারণে তিনি নন-পারফর্মিং লোনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষভাবে বিবেচনা করার ওপর তাগিদ দেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যাসগত ঋণ খেলাপি হওয়ার নির্দিষ্ট কারণগুলো চিহ্নিত করতে পারে এবং তা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মামলাগুলোর ব্যাকলগ কমাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।

 এর পাশাপাশি তিনি কার্যকরভাবে এডিআর পদ্ধতি চালু করতে বিদ্যমান আইনগুলোর দ্রুত সংস্কারের প্রস্তাব করেন। বৃহৎ ও খেলাপি ঋণ কমানোর স¦ার্থে প্রতিনিয়ত নজরদারির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘স্পেশাল মনিটরিং সেল’ গঠন করার সিদ্ধান্তকে ব্যারিস্টার সাত্তার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করেন। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃক ফি গ্রহণ না করা এবং উত্তোলন-পূর্ব অনুমোদন না রাখার ব্যবস্থাকে তিনি স্বাগত জানান। 

সর্বোপরি ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশ কিছু ইতিবাচক দিকনির্দেশনা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে একটি সময়োপযোগী বাস্তবায়ন কৌশল মুদ্রাবাজার ও অর্থনীতির মূল লক্ষ্য অর্জন করতে পারে বলে ব্যারিস্টার সাত্তার আশা প্রকাশ করেন।  

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা আনয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ ক্রমান্বয়ে বাজারভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার প্রত্যাশায় ব্যারিস্টার সাত্তার স্বস্তি প্রকাশ করেন। বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে এলসির মাধ্যমে আমদানি ব্যয় মেটানোর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান। এ ছাড়া যেসব এলসির মূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি সেগুলোকে তদন্ত করে পরিশোধ করা গেলে তা অর্থ পাচার রোধে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডিসিসিআই সভাপতি প্রস্তাব করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি মার্জিনের শর্তাবলি শিথিল করতে হবে এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি মার্জিনের শর্তাবলি শিথিল করলে তা স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর