মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিকল্প নেই আধুনিক কৃষি উৎপাদনের

মো. জসিম উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আধুনিক কৃষি উৎপাদনের বিকল্প নেই। গতকাল রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেম্বার ভবনে আয়োজিত ‘রংপুর বিভাগের বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। এ ছাড়া এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রংপুর বিভাগের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি। এ রপ্তানিকে আমাদের ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিতে হবে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গার্মেন্টসের বাইরে আমাদের নতুন নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘রংপুর অঞ্চল সাময়িকভাবে পিছিয়ে থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে পিছিয়ে নেই বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের যে উন্নয়নযাত্রা, সে যাত্রায় সরকার রংপুরকেও সহযাত্রী করে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে রংপুরের ছয় লেনের মহাসড়কসহ ব্যাপক পরিমাণে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন, সেই স্বপ্নকে সত্যি করার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, রংপুরে বৈষম্য দূরের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে। রংপুর দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আদর্শ স্থান হতে পারে। এখানে জমির দাম অনেক কম। স্বল্পমূল্যে লোকবল পাওয়া যায়। তাই এ সুযোগ কাজে লাগাতে দেশি-বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিগত দশকে দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি খাতের হাত ধরেই অর্থনীতির এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সামনের দিনের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুপরিকল্পিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর