রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরিচালকের অপসারণের দাবিতে কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচিতে হাসপাতালের পরিবেশ গুমোট হয়ে উঠেছে। কর্মচারী সমিতি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে পরিচালকের অপসারণ দাবি করেন। এদিকে পরিচালক বলছেন একটি মহল অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পেরে আন্দোলনের নামে পরিস্থিতি ঘোলা করছে। গতকাল রমেক হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে কর্মচারীরা। এ সময় পরিচালকের অপসারণের দাবিতে তারা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্লোগান দেন। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন, জেলা শাখার সভাপতি অক্সিজেন বাবু, রমেকের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ। এদিকে পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি পালন কর্মসূচিসহ পরিচালকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের এসব দাবি অযৌক্তিক দাবি করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান বলেন, সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মচারীকে হাসপাতাল চত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একটি আদেশ নামা জারি করেছিলাম।
ইতোপূর্বে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া অফিস সহায়ক মামুনুর রশীদ ও আশিকুর রহমান নয়ন বিধি লঙ্ঘন করছেন। তারা অযাচিতভাবে হাসপাতালের স্বাভাবিক স্পর্শকাতর, জরুরি বিভাগ, জখমী সনদ শাখা, অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে বিধিবহির্ভূতভাবে হস্তক্ষেপ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীকে সতর্ক করায় তারা হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করতে আমার অপসারণ দাবি করছে। এ ছাড়া একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনিয়মতান্ত্রিক কাজে বাধা দেওয়ায় তারা আমার অপসারণ চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে রয়েছি ততদিন কাউকে অনৈতিক কাজ ও সুযোগ দিব না।