সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে এইচআইভি রোগী ৯৭০৮ জন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে এইচআইভি রোগী ৯৭০৮ জন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে শনাক্ত এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৭৫ ও মারা গেছেন ১ হাজার ৮২০ জন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মহিলা সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও জানান, এইচআইভি রোগীর চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১১টি সরকারি হাসপাতাল হতে এইচআইভি রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা ও ৮টি এনজিও হতে মাদকসেবীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১৩৪টি ড্রপ-ইন-সেন্টার হতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন হচ্ছে : সরকারি দলের এমপি হাবিবে মিল্লাতের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংসদে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন।

 প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া আইনটি দ্রুত পাস করার পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে এবং মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশ বাস্তবায়নে এ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যমান আইন সংশোধনীতে ই-সিগারেটসহ ইমার্জিং তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব যুক্ত করেছে। এতে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ ধারার মাধ্যমে ই- সিগারেটসহ সব ধরনের ইমার্জিং তামাক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর