সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, মাঠে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পাশাপাশি তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অবস্থায় একটি মাঠে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ আয়োজন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে বিঘ্নিত হয়েছে তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। গতকাল দুপুরে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কলেজ, চম্পকনগর মডেল উচ্চবিদ্যালয় ও ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই মাঠে কর্মী সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে তীব্র শব্দদূষণ ও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিঘিœত হয় শিক্ষার্থীদের পাঠদান। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শব্দদূষণের কারণে আমরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারিনি। বেশি শব্দদূষণের কারণে বাধ্য হয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে স্যারেরা ক্লাস করিয়েছেন। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে হওয়া ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশে যোগদান করেন। এ ছাড়া কলেজের অদূরে মাইকের হর্ন থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিঘ্ন ঘটে।

চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কলেজের অধ্যক্ষ আবদুসাত্তার সরকারকে কলেজ খোলা অবস্থায় মাঠে কর্মী সমাবেশের অনুমোদন নিয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।  চম্পকনগর মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহেলা বেগম বলেন, হাই স্কুলের সামনে কর্মী সমাবেশ করবে এ ধরনের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

 আমরা স্কুলের গেট দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নিয়েছি। উপজেলা উচ্চমাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ডিপার্টমেন্টের সহকারী প্রধান হিসেবে আমি বক্তব্য দিতে পারি না। আপনি প্রধানকে কল দেন। তবে উপজেলা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিলের মোবাইলে কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান অবস্থায় মাঠে কোনো প্রোগ্রামের অনুমোদন দেওয়া ঠিক হয়নি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে খবর নিচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর