শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেনাপোল বন্দরে আটকা ৪২ ট্রাক চিনি

বেনাপোল প্রতিনিধি

মূল্য সংক্রান্ত জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২৮ দিন ধরে আটকা পড়ে আছে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনিবাহী ৪২টি ভারতীয় ট্রাক। এর ফলে ট্রাকের ডেমারেজসহ বন্দরের চার্জ নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে কাস্টমসের ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে ছয়টি চালানে ৮৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি বেনাপোল বন্দরে আসে। এর মধ্য তিনটি চালানে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন (৪২ ট্রাক) চিনি সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্যে শুল্কায়ন করার পর খালাস দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন কম মূল্যে শুল্কায়নের অভিযোগ তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে বাকি তিন চালান বন্দরে আটকা পড়ে যায়। সেই থেকে এখনো আমদানিকৃত চিনিবোঝাই ভারতীয় ট্রাকগুলো বন্দরের টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে। এসব ট্রাকের চালক ও হেলপাররা বন্দরে ট্রাকের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

চিনির আমদানিকারক সেতু এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ বলেন, ছয়টি চালানের মধ্যে তিনটি চালান সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্য পরিশোধ করে খালাস করেছি। কিন্তু সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন হঠাৎ আমদানি মূল্য কম দেখানোর অভিযোগ তোলায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্যারিফ মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বাকি তিনটি চালানের চিনি খালাস করতে পারছি না। প্রতিদিন ভারতীয় ট্রাকপ্রতি ২ হাজার টাকা করে ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দরের চার্জ রয়েছে। দ্রুত সমাধান না হলে আমদানিকারকরা লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।

তিনি আরও জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতি মেট্রিক টন চিনি ৪৩০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ (ট্যারিফ মূল্য) করে দিয়েছে চলতি বাজেটে। কিন্তু বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগের পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি মেট্রিক টন ৫৭০ ডলারে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশ দেয়। যার ফলে এই চিনি খালাস করে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব নয়। বর্ধিত মূল্যে চিনি খালাস করলে কয়েক লাখ টাকা আর্থিক লোকসান হবে বলে আমদানিকারক চিনি খালাস করছে না।

ভারতীয় ট্রাকচালক আশিষ সরকার বলেন, আমদানি জটিলতায় ২৮ দিন ধরে চিনি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছি। কবে খালাস হবে কিছুই জানি না। এ প্রচণ্ড শীতে রাতে ট্রাকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। গোসল-খাওয়া নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, চিনির তিনটি চালান বৈধ পন্থায় বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। তবে আমদানি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। বিষয়টি কাস্টমসের ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর