শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কোনো অসাংবিধানিক সরকার নয়

সংসদে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরকারদলীয় সদস্যরা বলেছেন, কূটনীতিকদের প্রেসক্রিপশন কেয়ারটেকার, সর্বদলীয় ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করতে হবে? এসব সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে? এসবের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই। আদালত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, কোনো অসাংবিধানিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবে না। আমাদের দেশের ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এ দেশের জনগণ অন্য দেশের মাতব্বরি কখনো মেনে নেবে না। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে জনগণই দেখবে, অন্য কারও দেখার দরকার নেই।

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গতকাল তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমাদের রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু কূটনীতিক কারও কারও বাড়ি গিয়ে হাজির হচ্ছেন, কী আশ্চর্য? আমাদের রাজনীতি নিয়ে কোনো কূটনীতিকের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এটা নির্ধারণ করবে আমাদের জনগণ। আমাদের কোনো প্রভু নেই, আমাদের প্রভু হলো জনগণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করা এক ধরনের দায়িত্বহীন কাজ। আমরা কি তাদের রাজনীতি নিয়ে কথা বলি? আমরা শুনেছি আমেরিকার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ। কিন্তু তা নিয়ে কি আমরা কথা বলেছি? মালয়েশিয়ার ভোট নিয়ে আমরা কি কোনো কথা বলেছি? যদিও এসব দেশে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।

তিনি বলেন, কূটনীতিকদের প্রেসক্রিপশন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট, সর্বদলীয় সরকার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করতে হবে? এসব সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে? এসবের কোনো বিধান আমাদের সংবিধানে নেই। ১৯৭১-এ তো অনেকে আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে গিয়েছিলেন, অস্ত্র-টাকা দিয়েছিলেন, স্বাধীনতাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা স্বাধীনতা রুখতে পারেননি। এবারেও পারবেন না। আমাদের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কে এলো, কে এলো না তা আমাদের দেখার বিষয় না। ’৭০ সালে ন্যাপ, ভাসানী সাহেব নির্বাচনে আসেননি। আজ তার পার্টি কোথায়। বিএনপির উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, এবারে যদি তোমরা নির্বাচনে না আসো তাহলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনো টিকে থাকেনি, তোমরাও টিকতে পারবা না। সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তারা অন্যের হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতির কথা বলে। তারা ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আওয়াম লীগ আমলে নয়। আলোচনায় আরও অংশ নেন হুইপ মাহবুব আরা গিনি, বজলুল হক হারুন, সুলতানা নাদিরা প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর