মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও নানা রঙের ফুল নজর কাড়ুছে যাত্রীদের

পাবনা প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও নানা রঙের ফুল নজর কাড়ুছে যাত্রীদের

ফুলে ফুলে সেজেছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের গেটওয়ে খ্যাত পাবনার দাশুড়িয়া মোড়ু। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের নান্দনিক ফুলের বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি কমেছে সড়ুক দুর্ঘটনাও। একসময়ের নিত্যনৈমিত্তিক যানজট, ধুলাবালি আর ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ গোলচত্বর এখন আকর্ষণীয় ফুলের বাগান। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও নানা রঙের ফুল নজর কেড়েছে যাত্রীদের। বেশ কয়েক বছর আগে গোলচত্বরের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করে সড়ুক বিভাগ। কিন্তু স্থানীয়দের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে গোলচত্বরটি ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকত। এর পাশাপাশি অনুমতির তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানারে ঢেকে থাকত পুরো এলাকাটি। ফলে যাত্রীদের চলাচলে অসুবিধার পাশাপাশি চালকরা বিপরীত দিকের যানবাহন দেখতে না পাওয়ায় প্রায়ই ঘটত সড়ুক দুর্ঘটনা। বারবার চেষ্টা ও স্থানীয়দের অনুরোধ করেও এর কোনো প্রতিকার করতে পারছিলেন না সড়ুক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে পাবনা সড়ুক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমীরণ রায়ের পরিকল্পনায় সেখানে দেশি-বিদেশি নানা ফুলের বাগান গড়ে তোলেন সড়ুক বিভাগের কর্মীরা। নান্দনিক সৌন্দর্যে পথচারী ও দূরদূরান্তের যাত্রীরা যেমন মুগ্ধ হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয়দের মধ্যেও এসেছে সচেতনতা।

পাবনা-রাজশাহী-কুন্ডষ্টিয়া মহাসড়ুকের দাশুড়িয়া গোলচত্বরের কাছাকাছি যেতেই পাওয়া যায় নানা রঙের ফুলের মিষ্টি সুগন্ধ। গাঁদা, গোলাপ, পিটুনিয়া, লিলিসহ নানা ফুলের বর্ণিল সমারোহে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য দেখে মনে হয়, যেন শিল্পীর নিপুণ তুলিতে আঁকা বর্ণিল ক্যানভাস। সওজের জাদুকরী উদ্যোগ বদলে গেছে দৃশ্যপট।

দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজপাড়া মহল্লার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, আগে এ সড়ুক দিয়ে যেতে খারাপ লাগত। কেমন যেন রুক্ষ পরিবেশ ছিল। আর এখন খুব ভালো লাগে। ফুলের সৌন্দর্য মনটা কেড়ে নেয়। বিকালে এ ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসেন অনেকেই।

পাবনা সড়ুক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি নির্দেশনা ছিল জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ুক সুসজ্জিত করা। তখনই আমরা এ কাজ শুরু করি। সড়ুকপথে উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের মিলনস্থল দাশুড়িয়া গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সাড়া পাওয়ায় এ বছর আরও পরিসর বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও জেলার অন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ুক এভাবে নান্দনিক বাগানের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর