যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রুবেল হক এখনো আরামেই আছেন। সাসপেনশন আদেশ পাওয়ার পরও তিনি পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। নিচ্ছেন সরকারি সুবিধা ও প্রশিক্ষণ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে ১১ জানুয়ারি তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকযাদু গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে সায়মা সুলতানা সিমির সঙ্গে এএসপি রুবেলের বিয়ে হয়। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেররশিয়া গ্রামের জারজিস আলী মধুর ছেলে। স্ত্রীর অভিযোগ, ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন রুবেল। এ ঘটনায় তিনি (তার স্ত্রী) ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে রুবেল, তার বাবা জারজিস আলী মধু, মা নাসিমা বেগম ও বোন নাসরিন খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ এবং মির্জাপুর থানাকে মামলা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালত তাকে হাজির হতে সমন দেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রুবেল হক টাঙ্গাইল জজ আদালতের আইনজীবী সেলিম রেজার মাধ্যমে জামিন নেন। এর পরই এ বছরের ১১ জানুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্ত্রী সায়মা সুলতানা সিমির অভিযোগ, তাকে নানানভাবে হুমকি দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা রুবেল হক। মামলা প্রত্যাহার করতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
