শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী

রাহাত খান, বরিশাল

লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী

উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত জমিতে এবং বিরূপ আবহাওয়ায় ফলন উপযোগী সূর্যমুখীর নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। তুলনামূলক খাটো জাতের এই সূর্যমুখী গাছ উৎপাদন হওয়ায় অন্য জাতের চেয়ে ফলন ৬৫ ভাগ বেশি। এই সূর্যমুখী চাষ করলে কৃষকরা লাভবান এবং ভোজ্য তেলে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আশা করছেন উদ্ভাবকরা। পাশাপাশি চাষাবাদ সম্প্রসারণ হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। দেশে বছরে প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। যার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। দেশে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অংশ হিসেবে বিভিন্ন জাত নিয়ে গবেষণা করে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০১৯ সালে সূর্যমুখীর নতুন এই জাত উদ্ভাবন করে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। গত তিন বছর ধরে নিজস্ব আঙিনায় পরীক্ষামূলক চাষাবাদে সাফল্য পাওয়ায় বারি-৩ নামে নতুন সূর্যমুখীর এই জাত এবার মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান খান জানান, নতুন জাতের সূর্যমুখী বিরূপ আবহাওয়া এবং লবণাক্ত জমিতে চাষাবাদের উপযোগী। এই গাছ লম্বায় ছোট। মাত্র এক থেকে দেড় মিটার।

 এ কারণে ঝড়-ঝঞ্ঝায় গাছ হেলে পড়ে না। ঠিকভাবে পরিচর্যা করলে অন্য জাতের চেয়ে ৬৫ ভাগ উৎপাদন বেশি হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর