আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দল আদর্শিক জোট, হালুয়ারুটি ভাগের নয়। যেহেতু আদর্শের ভিত্তিতে জোট গড়ে উঠেছে, তাই অনেক দল অনেক কিছু না পেলেও জোটে আছে। ১৪ দল নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, সংবিধানের চার মূলনীতির ওপর জিয়া কুঠারাঘাত করেছিল। জিয়া এ দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিল। এ দেশে সংবিধান নিয়ে কাউকে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না। রাজধানীর ইস্কাটনে গতকাল বিকালে আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আমু বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে গ্যাস বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং অগ্নিসংযোগ ঘটছে এসব বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। কারণ বঙ্গবন্ধুর সময়ও থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন এ রকম বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হতো। তিনি বলেন, পরবর্তীতে যা ঘটল তা তো দেখেছি। আমরা এসবের সুষ্ঠু তদন্ত চাই, কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। কে জড়িত বের হয়ে আসবে। নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, কেউ যদি না আসে সেটা তাদের ব্যাপার। তারা যদি নির্বাচনের আগেই পরাজয় মেনে নেয়, নিক। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ তারা আগেও কয়েকবার করেনি। তার পরও নির্বাচন হয়েছে এবং সরকার গঠন হয়েছে, পরিচালিতও হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট মৃণালকান্তি দাস, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরণ রায়, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্মসম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকীসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
