শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পোন্নয়নে খুলনায় বিমানবন্দর অপরিহার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শিল্পোন্নয়নে খুলনায় বিমানবন্দর অপরিহার্য

খানজাহান আলী (রহ.) মাজার, ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবনের পর্যটন, মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি, অর্থনৈতিক জোন কার্যকরসহ এ অঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্য সচল রাখার ক্ষেত্রে খুলনা বিমানবন্দরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের আরামদায়ক স্বল্প সময়ে যাতায়াতে বিমানবন্দরটি নির্মাণ অপরিহার্য।

কিন্তু সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বিমানবন্দরটি নির্মাণের কথা বলা হলেও কার্যকর বিনিয়োগকারী না পাওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় করা অর্র্থের অপচয় হবে এবং অধিগ্রহণকৃত জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা ও সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। জানা যায়, ‘শর্ট টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং বন্দর’ হিসেবে বাগেরহাটের ফয়লায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর (খুলনা বিমানবন্দর) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। ২০১১ সালে বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালে পিপিপির আওতায় বিমানবন্দরটি নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দেখা যায় বিমানবন্দরটি এ মুহূর্তে লাভজনক হবে না। ফলে প্রকল্পটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীন বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি বিমানবন্দরটি বাস্তবায়িত না হওয়া খুলনার মানুষের জন্য দুঃখজনক। শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করতে খুলনায় একটি বিমানবন্দর অপরিহার্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়া বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে এবং অধিগ্রহণ করা জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় বিমানবন্দর সময়ের দাবি উল্লেখ করে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, বিমানবন্দরটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এখানে মোংলা বন্দর আছে, ইপিজেড আছে, সুন্দরবন আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিমানবন্দর থাকা জরুরি। জানা যায়, ৫৪৪ কোটি টাকায় বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন হয়েছে। নাগরিক নেতারা বলছেন, বাকি ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে জিওবি ফান্ডে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করতে পারে সরকার। এতে পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর