শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

থামছেই না জাবির সংঘর্ষ

জাবি প্রতিনিধি

থামছেই না জাবির সংঘর্ষ

সাভারের একটি রেস্টুরেন্টে বসা নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে তৃতীয় দফা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুটি হল ছাত্রলীগের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগে মারপিট হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র সাইফুল গুরুতর আহত হন। পরে বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসজুড়ে দেশি অস্ত্রের মহড়ায় নামেন রবীন্দ্রনাথ হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে রাত সাড়ে ১১টায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন আইন ও বিচার বিভাগের ইমরুল হাসান অমি, বাংলা বিভাগের আহমেদ গালিব, দর্শন বিভাগের কাইয়ূম হাসান ও আরিফুল ইসলাম এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভিরুল ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মীর মশাররফ হোসেন হলে থাকেন। এদের মধ্যে অমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, গালিব ও কাইয়ূম সহসম্পাদক, আরিফুল ইসলাম কার্যকরী সদস্য এবং তানভিরুল কর্মী বলে পরিচিত। বহিষ্কৃতরা হলে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাইফুল ইসলামকে রড দিয়ে পেটানো হয়। আহত সাইফুলকে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার পলাশ চন্দ্র দাশ। এর আগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশি অস্ত্র প্রদর্শন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ১৯ মার্চ সাভারের একটি রেস্টুরেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে মীর মশাররফ হোসেন হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনারও তদন্ত করবে। তদন্ত কমিটির প্রধান ১৯ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক ও অন্য সদস্যরা হলেন আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন, শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানা, জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব উজ জাহিদ। শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, মারধর এবং সাম্প্রতিক ঘটনা বিবেচনায় চিহ্নিত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর