বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতেই হবে। আমরা এখনো পুরোপুরি ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নই। আমাদের ১২ লাখের বেশি ডিজেল পাম্প রয়েছে। এতে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হয়। সারে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হয়। ভর্তুকি থেকে যদি আমরা বেরিয়ে যাই তাহলে কৃষিপণ্যের দাম অনেকগুণ বেড়ে যাবে। সুতরাং এখনই ভর্তুকি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আয়োজিত ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি খাতে যোগ্য লোকবলের সংস্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রচুর ইনফ্রাস্ট্রাকচার হচ্ছে। কভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এনার্জি ইকোনমির ভূমিকা দিন দিন বাড়ছে। এনার্জি খাতে গবেষণার মাধ্যমে অনেক দেশ হাইড্রোজেন এনার্জিতে যাচ্ছে। তবে ফসিল ফুয়েল এখনো কন্টিনিউ করছে। যদিও আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছরের আগে ফসিল ফুয়েল থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। যারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলছে, তারাই কিন্তু আবার ফসিল ফুয়েলে ফিরে আসছে। সুতরাং আমাদের মতো দেশে গবেষণাটি করতে হবে বিষদভাবে। হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সেই গবেষণা করার সুযোগ আছে।
অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার, জ্বালানি বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।