বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

টগি ফান ওয়ার্ল্ডের চেক পেল সুবিধাবঞ্চিত তিন ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টগি ফান ওয়ার্ল্ডের চেক পেল সুবিধাবঞ্চিত তিন ফাউন্ডেশন

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভিআর থিম পার্ক টগি ফান ওয়ার্ল্ড শুধু আধুনিক গেমিং বা বিনোদনই নয়, মানুষের কল্যাণেও বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে। টগি ফান ওয়ার্ল্ডের ১১ তলায় গতকাল ‘ফ্রেন্ডশিপ ফর বেটার লাইফ’ ব্যানারে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্টের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশন, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের হাতে চেক তুলে দেন। জানা যায়, টগি ফান ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ গত বছর আগস্টে ‘ফ্রেন্ডশিপ ফর বেটার লাইফ’ শিরোনামে এ উদ্যোগ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে টগি ফান ওয়ার্ল্ড সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য টগি ফান ওয়ার্ল্ডের প্রতিটি টিকিট বিক্রির বিপরীতে ১ টাকা করে ডোনেট করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর ফান্ডে দেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল চেক হস্তান্তর করা হয়। একই দিনে সংগঠনগুলো থেকে আসা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের যে কোনো রাইড ও গেম খেলার সুযোগ করে দেয় টগি ফান ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের মূল লক্ষ্য দেশ ও মানুষের  কল্যাণে কাজ করা। এ লক্ষ্য মাথায় রেখে গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো টগি ফান ওয়ার্ল্ডও দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

জাগো ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপ অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং ম্যানেজার তানভীর মোরশেদ চৌধুরী বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গুণগত শিক্ষা দিতে জাগো ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এ ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য টগি ফান ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তিনি পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্টের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম বলেন, বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে তাদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় টগি ফান ওয়ার্ল্ড। তার অংশ হিসেবে চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। সংগঠনগুলো যে কাজ করছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। যারা এসব কাজ করছে আমরা শুধু তাদের পাশে আছি এমনটা নয়, নিজেরাও কাজ করছি। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১৪ ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। আমাদের স্কুলে এক বছর আগে শিক্ষার্থী ছিল ১০৫ জন, সেখানে এখন ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামী দুই মাসে এ সংখ্যা ৪০০-এর বেশি হবে বলে আশা করছি। আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গত সাত বছর কোনো প্রচারণা ছাড়াই কাজ করেছি।

সর্বশেষ খবর