তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারও অপরাধ আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এক জিনিস নয়। তাই প্রথম আলোর ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিকদের হয়রানির অন্য ঘটনা মেলানো যাবে না। গতকাল সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডিআরইউর সভাপতি মোরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রথম আলো স্বাধীনতা দিবসে যা করেছে তা দেশবিরোধী, স্বাধীনতার-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘শিশু নির্যাতন’ ও ‘শিশুর অপব্যবহারের’ কারণে। তিনি একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে নিজের বক্তব্যকে শিশুর বক্তব্য হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো যে নিউজ ছাপিয়েছে তা স্বাধীনতার-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে? ষড়যন্ত্র, সরাসরি অপরাধ। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকদের হয়রানির অন্য কোনো ঘটনা মেলানোর সুযোগ নেই।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বলা হয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার সত্যিকার অর্থে দেশবিরোধী। সংবাদ কোথায় তৈরি হয়েছে, ভারত, দুবাই, কাতার, লন্ডনে কে কাকে ফোন করেছে, সেই রেকর্ড, সব তথ্য সরকারের কাছে আছে। সুতরাং এটিও দেশবিরোধী অপপ্রচার।
মন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম আলোর রিপোর্টে যেটি হয়েছে, সেটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়া ও সাংবাদিকরাও মুখ খুলেছেন। অতীতে এটি হয়নি, কেননা এটি অপরাধ সমতুল্য। আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, এটির সঙ্গে অন্য ঘটনাকে মেলানো যাবে না।
আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সে বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহারে সাংবাদিক হয়রানি যেন না হয়, এ বিষয়ে আমরা খুব সচেতন। এ হয়রানি বন্ধে যেখানে যা করতে হচ্ছে তা করা হচ্ছে। কেউ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে আমাদের নজর আছে।