রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় ঘিয়ে ভাজা ইরানি জিলাপি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় ঘিয়ে ভাজা ইরানি জিলাপি

রমজানে কুমিল্লা নগরীতে ইফতারে ঘিয়ে ভাজা ইরানি জিলাপির চাহিদা বেশ। ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শাহি হালিমের। এ ছাড়া রাশিয়ান কাটলেট, আফগানি দুরুস, বিফ হাঁড়ি কাবাব, খাসির লেগ রোস্ট, জাফরানি দুধ নান রুটি, চিকেন হায়দরাবাদি বিরিয়ানি ও পেশোয়ারি পরোটারও চাহিদা আছে। আসরের নামাজের পর এসব ইফতারসামগ্রী কিনতে ভিড় দেখা যায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। নগরীর জিলা স্কুল রোডের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে কথা হয় ক্রেতা ইফতেখার আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাইরে থেকে তিনি জিলাপি ও হালিম কেনেন। ইরানি জিলাপি তার খুব পছন্দ। জান্নাত আরা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ইরানি জিলাপিটা মচমচে ও সুস্বাদু হয়। তাই ২ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন কেনার জন্য। ইরানি জিলাপির কারিগর সুমন জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে জিলাপি  তৈরির কাজ করেন। ঢাকায় ইরানি জিলাপি তৈরি করতেন। কুমিল্লায় ছয় বছর ধরে কাজ করছেন। ময়দা, মাষকলাই, চিনিগুঁড়া চাল, সাদা তিল, বেশন ও জাফরান দিয়ে খামির তৈরি করেন। তেলে ভাজার পর ঘিয়ে ভাজেন। এরপর চিনির সিরায় ডুবিয়ে রাখেন। বধূয়া ফুড ভিলেজ রেস্টুরেন্টের পরিচালক ফুয়াদ আহমেদ বলেন, ইফতারসামগ্রী বানাতে বিভিন্ন স্থান থেকে কারিগর এনেছি। এখানে ৫০ রকমের ইফতারসামগ্রী রয়েছে। ইরানি জিলাপি ও হালিমের চাহিদা বেশি। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের সামর্থ্যরে মধ্যে দাম রাখার চেষ্টা করি।

কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল হক দুলাল ও জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, সত্তর থেকে আশির দশকে কুমিল্লা নগরীতে রেস্টুরেন্ট থেকে খুব বেশি ইফতারসামগ্রী কেউ কিনতেন না। তখন বাসায় ছোলা বুট, পিঁয়াজু, শিরনি ও ইসুবগুলের শরবতের আয়োজন হতো। নব্বই দশকের পর মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ রেস্টুরেন্ট থেকে ইরানি জিলাপি, হালিম, জালি কাবাব ও বোরহানি সংগ্রহ করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর