বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন

গরম ছাপিয়ে ‘সিরিয়াস’ প্রচারণা

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে উপনির্বাচনের আর আট দিন বাকি। ভোটার থেকে শুরু করে দলের কর্মী-সমর্থক সবার এখন আসন্ন ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা। পাল্লা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তাপপ্রবাহ। তা সত্ত্বেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারণায় সিরিয়াস। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রচারণায় একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। কেবল দিন নয়, রাতভর চলছে নির্বাচনী কার্যক্রম। দলের স্থানীয় নেতারা জানান, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিদিন নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ, বহদ্দারহাটসহ বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। আর সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনী কার্যালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় থাকা আ জ ম নাছির উদ্দিন বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সঙ্গে সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। দিকনির্দেশনা দেন। সোম ও মঙ্গলবার রাত ১০টায় চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ ব্লকে নোমান আল মাহমুদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় নেতা-কর্মীর পদচারণে মুখর। কিছুক্ষণ পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তার কিছুক্ষণ পর আ জ ম নাছির উদ্দিন নির্বাচনী কার্যালয়ে আসেন। তিনি সেখানে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা বুঝি, রোজা ও গরম মিলিয়ে সবার একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই। আর কয়েকটা দিন কষ্ট করেন। নোমান (নৌকা প্রার্থী) ভাইকে জিতিয়ে আনতে হবে।’ মতবিনিময় শেষে আলাপকালে নাছির বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবার সুযোগ নেই। আমরা কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। সব ভোটারের কাছে যাচ্ছি। নোমান ভাইকে সবাই সাদরে গ্রহণ করছেন। তাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী কাজ করছেন।’ নোমান আল মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। সে সুযোগ পাওয়ার জন্য আমাকে উত্তীর্ণ হতেই হবে। এ উত্তপ্ত রোদ ও গরমেও সবাই দিনভর পাড়ামহল্লায় আমার সঙ্গে প্রচারণায় যাচ্ছেন। এজন্য বাড়তি সাহস আছে। আশা করছি দলকে সর্বোচ্চ ভোটে জয় উপহার দিতে পারব।’ ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এ উপনির্বাচনে অন্যদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ উদ্দীন চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ মোমবাতি, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির কামাল পাশা আম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোহাম্মদ রমজান আলী একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকিরাও নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্টের ফরিদ উদ্দিন বুধবার দুপুরে চেরাগী পাহাড়ে দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সব প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকবেন বলে সবার বিশ্বাস। বাকি চার প্রার্থীর মধ্যে দু-এক জনের স্থানীয় রাজনীতিতে অবস্থান থাকলেও এমপি হওয়ার দৌড়ে তাদের বিজয়ের সম্ভাবনা কম। এর পরও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিরামহীন। প্রতিদিনই জনসংযোগের পাশাপাশি উঠান বৈঠক, আলোচনা, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, নির্বাচনে যারা পোলিং, সহকারী পোলিংসহ বিভিন্ন দায়িত্বে থাকবেন ইতোমধ্যে সেসব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ।

৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর