শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

চালু হয়নি রংপুর ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে রংপুরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক শিশু হাসপাতাল চালুর কার্যক্রম। আধুনিক অবকাঠামো, নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ)-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নির্মাণের প্রায় পাঁচ বছরেও এ হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে শিশুদের উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রংপুর বিভাগের মানুষ। জানা গেছে, নগরীর প্রাণকেন্দ্র পুরাতন সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রায় ২ একর জমির ওপর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট রংপুর আধুনিক শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ ভবনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জনকে হস্তান্তর করে। তিন তলাবিশিষ্ট এ শিশু হাসপাতালে রয়েছে ইমারজেন্সি, আউটডোর, চিকিৎসকদের চেম্বার, ল্যাব, অপারেশন থিয়েটার, ব্রোন ইউনিট, ওয়ার্ড ও কেবিন। হাসপাতাল চত্বরেই সুপারিনটেনডেন্ট কোয়ার্টার, ডক্টরস কোয়ার্টার, স্টাফ অ্যান্ড নার্স কোয়ার্টার, ড্রাইভার কোয়ার্টার, বিদ্যুতের সাবস্টেশন স্থাপনের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। হাসপাতাল চালুর আগে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের উদ্যোগে ওই হাসপাতালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনে ‘করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতাল’ হিসেবে চালু করে। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে সংকটাপন্ন করোনা রোগীর চিকিৎসায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। করোনার প্রকোপ কমে গেলে এক পর্যায়ে রোগীশূন্য হয়ে পড়ে হাসপাতালটি। স্বাস্থ্য বিভাগও করোনা হাসপাতালে নিয়োজিত তাদের জনবল গুটিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শিশু হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটি দ্রুত চালুর আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি। হাসপাতালটি চালুর লক্ষ্যে ২৩ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে হাসপাতালটি চালুর ফাইলটি আটকে রয়েছে।

রংপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক শিশু হাসপাতালটি চালুর জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন, জনবল পদায়ন প্রয়োজন। এ ছাড়া ওষুধ, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জামের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে পাস হলেই হাসপাতাল চালুর কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর