মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিসিক নির্বাচনে অংশ না নিতে বিএনপির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগসহ তিন দলীয় এবং সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেলেও মাঠে নেই বিএনপি। মেয়র পদের পর এবার কাউন্সিলর পদে কোনো নেতা-কর্মীকে নির্বাচনে অংশ না নিতে মহানগর বিএনপি চিঠি দিয়েছে।

এর আগে ১০ মে সন্ধ্যারাতে সিলেট মহানগর বিএনপির নেতারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিলেট মহানগর নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেন। এরপর গত শনিবার সিসিক নেতা-কর্মীদের অংশ না নিতে নেতা-কর্মীদের চিঠি দিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়। জানা গেছে, সিসিক নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের অংশ নেওয়ার আভাস পেয়ে তাদের প্রার্থিতা ঠেকাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। সিলেটসহ পাঁচ সিটি নির্বাচনে মেয়র কিংবা কাউন্সিলর- কোনো পদেই দলের নেতা-কর্মীর প্রার্থী হওয়া তারেক রহমান চান না। তাঁর পক্ষ থেকে সিলেটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ প্রার্থী হলে তার বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় নেতা হোন না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে।

ওই সূত্রটি আরও জানায়, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় সিসিকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বিএনপির ২৫ নেতার নাম উল্লেখ করে একটি প্রাথমিক তালিকা কেন্দ্রীয় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এই তালিকায় থাকা ২৫ নেতার মধ্যে ৮ জনই বর্তমান কাউন্সিলর।

মহানগর বিএনপি নেতা ও সিসিকের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী (কয়েস লোদী) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘খুবই জটিল অবস্থায় পড়েছি। আমি গত ২০ বছর ধরে আমার ওয়ার্ডের জনগণের ভালোবাসা-ভোটে নির্বাচিত। এ ক্ষেত্রে আমার পরিচয় দলীয় নয়। এখন হঠাৎ করে জনগণের ভালোবাসা অবজ্ঞা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমাদের মতো প্রার্থীদের কথা বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড কঠোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন।’ কিন্তু তার সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে গত শনিবার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে চিঠি দিয়ে আরেক দফা বাধা দেয় বিএনপি। চিঠিতে বলা হয়- বর্তমান সরকারের এই পাতানো নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর