রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা দিয়ে ভারতের সঙ্গে আরও একটি আন্তঃবিভাগ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রজেক্টটি শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ আছে। লাইন ও স্লিপার বসানোর কাজও শেষ। আমরা আশা করছি জুনের মধ্যে কাজ শেষ হলে সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তিনি গতকাল বিকালে আখাউড়ার খারকুট এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, এ রেলপথের মাধ্যমে দেশের নতুন একটি অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত হবে। রেলপথে পণ্য পরিবহনের ফলে খরচ অনেকাংশে কমে আসবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডুয়েলগেজ রেলপথ না থাকায় এখনই আগরতলা থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল করছে না। তবে আখাউড়া থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ হলে সরাসরি আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু করা সম্ভব হবে। এদিকে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বিদ্যমান যাত্রী চাপ কমাতে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আরও অন্তত চারটি ট্রেন দেওয়া হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ পরিদর্শনকালে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া, টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনসহ রেলের ঊর্ধŸতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
