রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুরোদমে গাড়ি আমদানি শুরু

এক দিনেই এলো ৯২৬টি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

দেশে ডলার সংকট কেটে যাওয়ায় পুরোদমে শুরু হয়েছে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি। চলতি মাসের ১৬ দিনে আমদানিকারকরা মোংলা বন্দরের মাধ্যমে এনেছেন ১ হাজার ৬২৯টি বিলাসবহুল গাড়ি। এর মধ্যে গতকাল দুপুরে জাপান থেকে এসেছে ৯২৬টি। মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের গাড়িবাহী জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করার পর বিকালে খালাস কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে গত ৪ মে একই জাহাজে জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আনা হয় ৭০৩টি গাড়ি। ডলার সংকটের কারণে গাড়ি আমদানি কমে যাওয়ায় গত এক বছরে ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে মোংলা কাস্টমস হাউজ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস হাউস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মালয়েশিয়া স্টার নামের জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপের ব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান জানান, এই চালানে মোট ১ হাজার ৩৭৬টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০টি গাড়ি গত ১৮ মে ৪৫০টি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়। বাকি ৯২৬টি গাড়ি মোংলা বন্দরের মাধ্যমে খালাস হচ্ছে। জাপানের বিলাসবহুল এসব গাড়ি সিঙ্গাপুরের একটি বন্দর থেকে বোঝাই করে গত ১২ মে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শনিবার দুপুরে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করার পর বিকালে খালাস কাজ শুরু হয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে এক্সিও, প্রিমিও, এলিয়ন, অ্যাকুয়া, প্যারাডো ও মিনিবাসসহ একাধিক ব্যান্ড। এর আগে গত ৪ মে একই জাহাজ করে জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আনা হয় ৭০৩টি আমদানি করা গাড়ি।

আগামী ৩ জুন মালয়েশিয়া স্টার জাহাজে করে আরও একটি গাড়ির চালান আসবে বলেও জানান এই শিপিং এজেন্ট। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার প্রভাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ডলারের ভয়াবহ সংকট ছিল। এ কারণে গাড়ি আমদানি করা যাচ্ছিল না। অর্থনৈতিক সংকটের আগে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মাসে দেড়-দুই হাজার গাড়ি আমদানি হতো। গত ৯ মাসে দেশে তেমন গাড়ি আমদানি করা যায়নি। জানুয়ারি মাসের পরে ডলার সংকট কাটতে শুরু করায় ব্যাংকগুলো এলসি খোলা শুরু করে। সে কারণে এখন দেশে পুরোদমে গাড়ি আমদানি শুরু হয়েছে। এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরে এসেছিল ৫০০টি গাড়ি। চলতি মাসে মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে দুই দফায় মোংলা বন্দরের মাধ্যমে বিলাসবহুল ১ হাজার ৬২৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে বলেও জানান বারভিডা সভাপতি। মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজ আহমেদ জানান, গত বছরে গাড়ি আমদানি কম হওয়ায় মোংলা কাস্টমসের ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। গাড়ি আমদানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আয় বাড়বে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর