নারায়ণগঞ্জে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারি হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে শহরের খানপুরে হাসপাতাল রোডে কয়েক দফা মারামারির পর পদযাত্রা শেষ করে ফের শহরের মিশনপাড়ায় মারামারি হয়। জানা গেছে, মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাজির হন দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। বিকাল ৪টায় সভা শুরুতেই জেলা যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ মিছিল নিয়ে প্রবেশের সঙ্গেই মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তুর লোকজনের সঙ্গে বাগবিতন্ডা ঘটে। ওই সময় বিএনপির জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটলে দোষ পড়ে জোসেফের লোকজনের ওপর। বাগবিতন্ডা থামাতে গেলে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদের ওপর চড়াও হয় জোসেফের লোকজন। শুরু হয় মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা। একই সময়ে রিজভীর পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান সুমনের লোকজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা ঘটে। তখন সুমনের পক্ষে যুবদলের জেলার সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির লোকজন মিলে আজাদের লোকজনের ওপর চড়াও হলে শুরু হয় ফের মারামারি। প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী মাইক হাতে নিয়ে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ওই ঘটনার পর শহরের মিশনপাড়ায় আবার আজাদ ও রাজীবের লোকজনের সঙ্গে রনির লোকজনের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
