বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষা গবেষণায় এগিয়ে খুবি

এক বছরে ৮০০ গবেষণা নিবন্ধ, উপকারী পোকার বংশবিস্তার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

নবীন ও প্রবীণ গবেষকদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে সাতজন শিক্ষককে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পিএইচডি প্রোগ্রামে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি, নিজস্ব রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড গঠন, এক বছরে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার গবেষণা অনুদান গবেষণা কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে।

জানা যায়, এরই মধ্যে পাঁচ প্রজাতির উপকারী পোকার দ্রুত উৎপাদন ও বংশবিস্তার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের গবেষকরা। খেতে উপকারী পোকা ফসলের ক্ষতিকর পোকা দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এতে কৃষকের খরচ কমবে, ফসলে পুষ্টিগুণ বাড়বে। এ ছাড়া ক্যান্সার বিষয়ক গবেষণা, উপকূলের পরিবেশ লবণাক্ততা মাটি ও কৃষি নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। উদ্ভাবনী সুযোগ সৃষ্টিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ‘ইনোভেশন হাব’ তৈরির কাজ চলছে।

খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন জানান, করোনা স্থবিরতার পর শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও গবেষণায় উদ্যম সৃষ্টি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। গত দুই বছরে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষা, গবেষণায় আলো ছড়াচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালের বিজ্ঞানীদের বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ড. মাহমুদ হোসেন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করেন। খুবিতে কৃষি ও ফরেস্ট্রি প্রথম, দেশে চতুর্থ, এশিয়ায় ১৫১, বিশ্বে ৮২৫তম স্থান লাভ করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে থেকে ‘আউটকাম বেইজড এডুকেশন’ কারিকুলাম প্রণয়ন করেছে খুবি। একাডেমিক ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করে পাঠদান শুরু হয়েছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) যুগেও প্রবেশ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে ডি-নথির আওতায় আনার চেষ্টাও চলছে।

জানা যায়, খুবি ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেখানে ক্যাম্পাসের আবর্জনা দিয়ে তৈরি কম্পোস্ট সার বিক্রিও করা হবে। খুবিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা থেকে বছরে উৎপাদিত হবে ৭৫ কিলোওয়াট গ্রিন এনার্জি, মেয়াদকালে হ্রাস পাবে ১ হাজার ৬৫০ টন কার্বন নিঃসরণ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর