বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আনোয়ারের শোডাউনে আপত্তি বাবুল হাসানের

সিলেট সিটি নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আনোয়ারের শোডাউনে আপত্তি বাবুল হাসানের

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর শোডাউন করে মনোনয়নপত্র দাখিল এবং তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযোগ তুলেছেন এ দুই মেয়র প্রার্থী। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীকে বাড়তি সুযোগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন তারা।

নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতায় মঙ্গলবার অন্য মেয়র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচজন সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শোডাউন করে নির্বাচন অফিসে যান। প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

মনোনয়নপত্র জমাদানকালে আনোয়ারুজ্জামানের শোডাউনের পর অভিযোগ ওঠে আচরণবিধি লঙ্ঘনের। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ শুরু করেছে। আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কেবল ৫ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ প্রার্থী শোডাউন করে এসেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গে অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। নির্বাচন কমিশন তাদের বাধা দেয়নি। বরং হাসিমুখে মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন। তাদের সতর্কও করেননি।’ মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছেন। সরকারের লোকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিধান না থাকলেও তারা প্রতিদিনই অংশ নিচ্ছেন।’

গতকাল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবদুস শহিদ লস্কর বশির স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে নির্বাচন অফিসে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তার সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতারাও ছিলেন। সরকার দলীয় প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের কোন কর্মকর্তা তাদের বাধা দেননি। এতে প্রমাণ হচ্ছে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়।

বাবুল বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই নির্বাচন কমিশন যেভাবে নৌকার প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে ভোটের দিন পর্যন্ত তারা সরকার দলীয় প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে থাকবেন। এভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারালে হয়তো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হবে। এরকম পরিস্থিতি হলে তার দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।

তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়েই মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়েছিলেন। বাকিরা অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে গিয়েছিলেন।

রিটা?র্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কা?দিরও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ৫ এর অ?ধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের বলেছি। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমাদানকালে বেশ কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।’

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর