বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সক্রিয় হচ্ছে ১৪ দলীয় জোট

মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অস্তিত্বহীন ছিল জোটের কার্যক্রম

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম ১৪ দলীয় জোটের তৎকালীন সমন্বয়ক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অস্তিত্বহীন ছিল জোটের কার্যক্রম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেদের গুছিয়ে নির্বাচনমুখী এজেন্ডা বাস্তবায়নে আবারও সক্রিয় হচ্ছে চট্টগ্রাম ১৪ দলীয় জোট। দীর্ঘদিন শূন্য থাকা জোটের প্রধান সমন্বয়কের পদে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র।

জোট সূত্র জানায়, ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২১ মে সুজনকে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর পর শূন্য থাকা পদে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। সুজন ইতোমধ্যে জোটকে গতিশীল করতে শরিক দলের চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা নেতাদের নিয়ে সভা করেছেন। গতকাল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছেন জোটের নেতা-কর্মীরা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর কোনো সমন্বয়ক না থাকায় জোটের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জোটের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সবাইকে নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছি। স্বাধীনতাবিরোধীদের নৈরাজ্য প্রতিহত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন নিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর জোটের কার্যক্রমে গতি আনতে শুক্রবার নগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করেন খোরশেদ আলম সুজন। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়াও তরিকত ফেডারেশন, গণআজাদী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ জোটের শরিক দলগুলোর চট্টগ্রামের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বুধবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সামনে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী চক্রান্ত, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।

জোটের অন্যতম শরিক ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মিতুল দাশ গুপ্ত বলেন, ‘গত নির্বাচনের পর থেকে জোটের কার্যক্রম কার্যত বন্ধই ছিল। কিন্তু দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা সব শরিক একযোগে এগিয়ে যাব। তবে নির্বাচনে কে কয়টি আসন পাবে, কে কতটুকু ছাড় দেবে কিংবা নির্বাচনী অবস্থান কেমন হবে শরিক দলগুলোর কেন্দ্র থেকে তা নির্ধারণ করা হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এটা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী সম্মিলিত রাজনৈতিক শক্তি। দল ও জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যাতে সফলভাবে শেষ হয় সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করছি। এর বাইরে কেন্দ্র থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হবে সেগুলো জোটের সব শরিক একাত্ম হয়ে সফলভাবে পালন করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর