তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা। জনগণকে তোয়াক্কা না করা। দেশ্বের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়-বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা। গতকতাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস)। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধরনা দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে ধরনা না দিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপির নেতারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়।
তিনি বলেন, আমাদের ভিতরে যদি রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকে সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে যাওয়া দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এই কাজটি বিএনপি ও তার মিত্ররা করছে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন- এই চারটি বিষয়ের মধ্যে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। জনগণের কোনো বিষয়াদি তাদের মধ্যে নেই।
নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেটি এই উপমহাদেশ্বের জন্য উদাহরণ। কদিন আগে পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। আমাদের দেশ্বে সেটি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি তা নয়, তাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরও নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে। কিন্তু তাদের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ্বের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অনেকটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন। নির্বাচনে যাতে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে সেটির প্রচারণা করুন। জননেত্রী শ্বেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি যাতে অব্যাহত থাকে, সেটির পক্ষে প্রচার করুন।