নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় পাঁচ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ছাড়া এক কিশোরকে দোষীপত্র করে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে। আসামি হলেন, নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে আবির আলী। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়। অপর আসামি ওই কিশোরকে ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বন্দরটিলা নয়ারহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কিশোর আয়াতের বাসার কাছে একটি হোটেলে কাজ করেন। পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে বলেন, ইপিজেড থানার পাঁচ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আবির আলীকে আসামি করে ও এক কিশোরকে দোষীপত্র করে আলাদাভাবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ৩০২/২০১ (খুন ও মরদেহ গুম) ধারায় আবির আলীকে এবং ২০১ (মরদেহ গুম) ধারায় অপর কিশোরটির বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। হত্যাকান্ড ও মরদেহ কেটে গুম করার পরিকল্পনা ও ঘটনা জেনেও গোপন রাখায় ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তরুণের বাবা-মা ও বোনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগপত্র ও দোষীপত্র মিলিয়ে ৩৫৭ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর নগরের আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেটের গর্ত থেকে আয়াতের দুই পা এবং পরদিন খন্ডিত মাথা উদ্ধার করে পিবিআই। এ ঘটনায় আয়াতের বাবা নগরের ইপিজেড থানায় হত্যা মামলা করেন। শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় তার সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এরপর একই মামলায় গত ২ ডিসেম্বর আবিরের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আবির আলী। তিন ঘণ্টা ধরে ১৭ পৃষ্ঠার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবির আলী।