খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেছেন, কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেন না। বিগত ১৫-১৬ বছরে কুয়েটে যত দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে, তার তদন্ত করা হবে। টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক-ছাত্রদের ওপর নির্যাতন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, হলসমূহে অনিয়মে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল তিনি কুয়েটে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, নির্যাতনের কারনে ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন হত্যার ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ওই ঘটনায় আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই-তিন বছর আগে ছাত্রহলে সারারাত আটকে রেখে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুয়েটের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের ‘একাডেমিক ও এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট’ নিয়ে ঝামেলা আছে। এগুলো যাচাই করা হবে। উসকানিমূলক তথ্য ফাঁস করে অস্থিতিশীল পরিবেশ যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে হলে প্রভোস্ট-সহকারী প্রভোস্ট টপ টু বটম বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- রুটিন দায়িত্বে আসার পর পুলিশ-আর্মি-ডিজিএফআই তিন বাহিনীর লোক দিয়ে প্রত্যেকটা হল সার্চ করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য কিছু শিক্ষক ও প্রভোস্ট তার আগের দিন ছাত্রদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় তারা রুম খুলে রাতের আঁধারে অবৈধ জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছে। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ‘এখন থেকে সিনিয়রিটি ও মেধার ভিত্তিতে ছাত্র হলে সিট বণ্টন করা হবে। কুয়েটে কেউ দুর্নীতি করলে পার পাবে না। আমি এখানে ছাত্র ছিলাম। আমি ছাত্র থাকা অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে দেখেছি, সেভাবেই দেখতে চাই। এর জন্য যা প্রয়োজন তাই করব।’ মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।