আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ৩৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন জোট ‘জুলাই ঐক্য’। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, এ জোটের একমাত্র দাবি হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ২৪-এর গণহত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যা, পিলখানা ট্র্যাজেডি, গুম, খুন, দুর্নীতিসহ বিগত সাড়ে পনেরো বছরে যেসব অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইন জারি রাখা। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের আট মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা দেখছি গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো অনিশ্চিত।
এ ছাড়া জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বিভিন্ন দাবি তুলে জুলাইয়ে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের বিতর্কিত করতে চায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করেই আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ‘জুলাই ঐক্য’ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জোটের ঘোষণা করছি।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিনিধি ফাতিমা ঝুমা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে তিনটির বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। পিলখানা, শাপলা ট্র্যাজেডি ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে অনেক মানুষকে মেরেছে। হত্যাকা থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করে নাই। এর প্রতিরি জন্য ইনিডিভিজুয়ালি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার দাবি রাখে। আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্লাবন তারিক বলেন, দেশের মেইনস্ট্রিম রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যুটা একেবারেই স্কিপ করে যাচ্ছে। আমরা দেখছি যে আওয়ামী লীগের নেতারা যারা অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন তারা জেলে গেছেন। জেলে যাওয়ার কয়েক দিন পরে ছাড়া পেয়ে আবার তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (পুনাব) মুখপাত্র নাইমুল ইসলাম বলেন, আমরা বলতে চাই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিল এবং থাকবে। আমরা জানতে চাই আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থাটা এতটা দীর্ঘদিন কেন চলছে? আমরা চাই আরও দ্রুত এবং যত দ্রুত সম্ভব বিচারটা কার্যকর হোক।