চট্টগ্রামে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালেই বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে নগরের প্রাণকেন্দ্র আন্দরকিল্লায় অবস্থিত জেনারেল হাসপাতাল। জলাতঙ্কের টিকার জন্য নগরের মানুষেরা এ হাসপাতালের ওপরই নির্ভরশীল। অথচ ২৮ মে থেকে এই জেনারেল হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের টিকা। ফলে রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে টিকা গ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন গরিব-অসহায় মানুষেরা।
জেনারেল হাসপাতালের নিচ তলায় জরুরি বিভাগের পাশেই একটি রুমে দেওয়া হয় এ টিকা। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রুমের দরজায় লাগানো হয়েছে ‘জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ। রোগীদের বাইরে থেকে টিকা কিনতে হবে’ লেখা শীর্ষক একটি নোটিস।
কুকুর, বিড়াল, গবাদিপশু, বন্যাপ্রাণী ও পোষা প্রাণী কামড় বা আচড় দিলে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিনের টিকাটির তিন ডোজ নিতে হয়। কামড়ের দিন প্রথম ডোজ, তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ডোজ এবং সপ্তম দিন তৃতীয় ডোজ দিতে হয়। হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় রোগীদের নিজ টাকায় তা ক্রয় করতে হচ্ছে। ৫ মিলিগ্রামের একটি টিকা চারজনকে দেওয়া যায়। বাজারে এই টিকার দাম ৪৫০ টাকা। ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই র্যাবিস ভ্যাকসিন।
গত বুধবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক টিকা রুমের সামনে দেখা যায়, একসঙ্গে অনেক রোগী ভিড় করেছেন। কিন্তু হাসপাতালে টিকা না থাকায় অনেকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবগত না হওয়ায় বিভ্রান্তিতেও পড়ছেন। এ সময় দেখা যায়, কুকুর বা বিড়ালের কামড় খাওয়া চারজন রোগী মিলে একটি টিকা ক্রয় করে তা গ্রহণ করেছেন।
কালামিয়া বাজার থেকে আসা কামরুদ্দিন নামের এক শ্রমিক বলেন, কুকুরে কামড় দেওয়ার পর দ্রুত সরকারি হাসপাতালে চলে আসি। আগে জানতাম বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়।
এখন বলা হচ্ছে টিকা নেই, ফলে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আকরাম হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেন নেই তা এখনই খবর নিচ্ছি।