মহামারী করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে ৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। ফলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা সবাইকেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে যারা আসছেন তাদের আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারো প্রতি সন্দেহ হলেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।
নমুনা পরীক্ষার জন্য বর্তমানে দেশি-বিদেশি ৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আইসোলেশনে থাকা পাঁচজনের সবারই শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আক্রান্ত দেশ থেকে আসা পর্যটকদের তথ্য দিতে হোটেল মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে যদি যাত্রীরা আসেন, তাহলে তারা যেন আমাদের জানান। যাতে আমরা আমাদের সার্ভিলেন্স কাজ করতে পারি। আমাদের দেশে আসা কোনো যাত্রীর মধ্যে যদি কোনো জীবাণু থাকে, তার থেকে যেন তা ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, তবে যারা আসছেন, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন নয়; সুতরাং আমরা যেন তাদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ না করি, যাতে তারা হেনস্তার শিকার হন।
জরুরি প্রয়োজনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় আইসোলেশন ইউনিট চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদি কেউ সন্দেহভাজন রোগী থাকেন, তাদের নমুনা সংগ্রহের পর যেন পরীক্ষা করা হয়। যদি ওই রোগী পজেটিভ হন, যদি তাকে অন্য হাসপাতালে যেতে হয়, তাহলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালকে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম