করোনাভাইরাসে কেউ যেন আতংকিত না হন সে জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে শহরব্যাপী মাইকিং। জনগণকে সচেতন করতে এবার রাস্তায় নেমে প্রচারণা চালালেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহনে। এসময় তারা করোনা ভাইরাসে আতংকিত না হয়ে সচেতন হবার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার রাখতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হবার কথাও বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেউ যদি বিদেশ থেকে দেশে আসে তাহলে তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। তাছাড়া কেউ অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৭ জন। ফরিদপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৩ হাজার ৮৩৫ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব ব্যক্তিরা নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেই নির্দেশনা মানছেন না। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা নিয়েও তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ হতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৩৫ জন বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন। যাদের বেশীর ভাগই ভারত থেকে এসেছেন। ইমিগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা চলে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন