কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বলিঘর গ্রামের মো: রায়হান (২০) নামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর দাফন প্রশাসনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। সে মুরাদনগর উপজেলার বলিঘর গ্রামের মোখলেছুর রহমান ছেলে। এবার সে এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থী ছিল। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন হয়। এরপর মরদেহ বহনকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিইগুলো বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এদিকে, বলিঘর গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করেন ইউএনও।
জানা যায়, মৃত্যুর আগে রায়হাণনের দেহে জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং প্রচন্ড ব্যাথার উপসর্গ ছিলো। সে পায়ে ব্যথাজনিত কারণে বুধবার সকালে পাশের গাজীর হাটে চিকিৎসা নিতে এলে চিকিৎসক কবীর আহমেদ খন্দকার তাকে নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবার পরামর্শ দেন। দুপুরে নবীনগরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যায় সে।রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন, বাঙ্গরাবাজার থানা ও মুরাদনগর স্বাস্থ্য বিভাগের ককর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার দাফন শেষ করা হয়। এসময় মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ, বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, নিহতের বাবা ও চাচাতো ভাই উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও জানান, করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত গ্রামটি লকডাউন থাকবে। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ ঘরে নিরাপদে অবস্থান করার জন্যে অনুরোধ করেন ইউএনও।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ
.jpg?v=1713576609)
.jpg?v=1713576609)
