কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত (পরবর্তীতে মারা যাওয়া) এক রোগীর চিকিৎসা দেয়া পল্লী চিকিৎসকের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকসহ তার পরিবারের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ওই পল্লী চিকিৎসকের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ওই পল্লী চিকিৎসক নিজ এলাকায় সেবা ফার্মেসি নামক একটি ওষুধ দোকান দিয়ে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। গত কয়েকদিন আগে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার উন্দানিয়া গ্রামের আলী আক্কাস (৪৫) নামক এক রাজমিস্ত্রি জ্বর, সর্দি নিয়ে ওই চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসার জন্য আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই রোগী বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল ওই রোগী মারা গেলে স্থানীয় প্রশাসন নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন বিশ্বাস ওই পল্লী চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে লকডাউন করে দেন। এসময় পল্লী চিকিৎসকসহ তার পরিবারের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসআর-এ প্রেরণ করা হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দেবদাস দেব বলেন, ওই পল্লী চিকিৎসকের পরিবারের ১১ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তাদের কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন