প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এসব দেশের মধ্যে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালায় আমেরিকায়। এছাড়াও ইউরোপের ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সকেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতেও। তবে এই ভাইরাস যেভাবে বেড়েছিল আবার ঠিক সেভাবেই কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে ২১ জন সংক্রমিত হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ায় করোনার শক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকদিন ধরে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জনেরও কম। দেশটিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার। এর ৯৮ শতাংশের বেশি নেগেটিভ। এ কারণে এ কয়েক দিনেই অস্ট্রেলিয়ার চিত্র পাল্টে গেছে।
এ কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, করোনাভাইরাস দমন করতে অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। তবে সরকার চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বেঁধে দেওয়া পথনির্দেশনা মেনেই চলছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ব্রেন্ডন মারফি বলেন, যদি আমরা সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থাগুলো এখনই শিথিল করি, যা এখন কমিউনিটি সংক্রমণ বন্ধ বা হ্রাস করছে; তবে তা বেড়ে আরও বড় আকারে প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা শিথিলকরণে তখনই যেতে পারব, যখন আমাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুন্দরভাবে কার্যোপযোগী থাকবে। কোনও প্রাদুর্ভাবের আভাস পেলেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/কালাম